প্রকাশিত: Sun, Oct 22, 2023 11:04 PM
আপডেট: Sun, Jun 29, 2025 1:19 PM

[১]সেনা অভিযান চালাতে বিমান হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল [২]গাজায় ২৬ মসজিদ ধ্বংস [৩]ভয়াবহ পরিণতির হুশিয়ারি হিজবুল্লাহর

 সাজ্জাদুল ইসলাম: [৪] গাজায় ইসরায়েলি বিরামহীন বিমান হামলার ১৬তম দিন ছিল রোববার। শনিবার রাতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও ৫৫ নিহত হয়েছেন। এ সময় ৩০টি ভবন গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। হামাস এ তথ্য জানিয়েছে। 

[৫] রোববার ইসারেয়েলে যুদ্ধ বিমানগুলো গাজার খান ইউনুস উদ্বাস্তু শিবিরের এক মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায়। মার্কেটটিতে হামলায় অন্তত নিহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি হামলায় গতকাল পর্যন্ত ইসরায়েলে হামলায় গাজায় অন্তত ৪৩৮৫ জন নিহত হয়েছেন যার মধ্যে ১৭৫৬ জনই শিশু। বিবিসি, আল-জাজিরা, রয়টার্স, বিবিসি

[৩] একই সময়ে পশ্চিম তীরের জেনিন উদ্বাস্তু শিবিরের আল-আনসার মসজিদে বিমান হামলা চালানো হয়। সেখানেও অন্তত একজন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি হামলায় কেবল গাজায় ধ্বংস হয়েছে ২৬টি মসজিদ। 

 [৪] ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ঘোষণা দিয়েছে, হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যাকায় যুদ্ধে দ্বিতীয় দফা অর্থাৎ সেনা অভিযান শুরুর প্রস্ততি হিসেবে তারা গাজায় বিমান হামলার তীব্রতা আরও জোরদার করবে। রোবরার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জেনারেল ডেনিয়েল হাগারি বলেছেন, আজ(রোববার) থেকে তারা বিমান হামলা জোরদার করবেন।

[৫] ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল হারজি হালেভি বলেন, আমরা হামাসের অবকাঠামো ধ্বংস করতে গাজায় প্রবেশ করতে যাচ্ছি এবং আমরা পেশাগত পদ্ধতিতে এটি করবো। 

[৬] গত ৭ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। বাড়ীঘর, মসজিদ, হাসপাতাল, গির্জা, শরণার্থী শিবির কিছুই নৃশংস ইসরায়েলি বিমান ও বোমা হামলার হাত থেকে রেহাই পায়নি। এ কয়েকদিনে গাজায় ২৬টি মসজিদ গুড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফিলিস্তিনি ওয়াকফ মন্ত্রণালয় এ কথা জানায়। 

[৭]  গাজা ভূখণ্ডে চলমান যুদ্ধের মধ্যেই ইসরায়েল ও লেবাননের হিজবুল্লাহর মধ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে। হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা ইতোমধ্যে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে প্রাণকেন্দ্রে প্রবেশ করেছে। গ্রপটির উপনেতা শেখ নায়েম কাসেম হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, গাজায় সেনা অভিযান শুরু করলে ইসরায়েলকে চড়া মূল্য দিতে হবে। তিনি বলেন, আমরা ইসরায়েলের সেনাবাহিনীকে দুর্বল করতে চাই এবং সেই সাথে একথাও জানাচ্ছি যে, আমরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তত।

[৮] হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, শনিবার (২১ অক্টোবর) দিনব্যাপী ইসরায়েলে তাদের হামলায় অনেক ইসরায়েলি সেনা হতাহত হয়েছে। এ সময় ইসরায়েলি হামলায় তাদের পক্ষেও ছয় য্দ্ধোা নিহত হয়েছেন। হিজবুল্লাহ বলছে, ইসরায়েলের সংগে সংঘর্ষে এ ছয়জনসহ তাদের মোট ১৯ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। 

[৯] হিজবুল্লাহ জানায়, তারা সীমান্তের ওপারে দুইটি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ব্যারাকে হামলা চালিয়েছে। এতে অনেক ইসরায়েলি সেনার হতাহতের ব্যাপারে তারা নিশ্চিত হয়েছে। পৃথক আরেক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অধিকৃত হুনিন ব্যারাকে (রামিম) ইসরায়েলি স্থলবাহিনীর একটি ইউনিটে তারা হামলা চালিয়েছে। সেখানেও ইসরায়েলের পক্ষে বহু হতাহত হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীও সেখানে হিজবুল্লাহর ব্যারাকটিতে ট্যাংক বিধ্বংসি গোলা নিক্ষেপের কথা স্বীকার করেছে। তবে তাদের পক্ষে হতাহতের কোন সংখ্যা জানায়নি। সম্পাদনা: ইকবাল খান